মোঃ আব্দুল হান্নান//নাসিরনগর প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক, নার্স, ও জনবল সংকটের কারনে ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত নাসিরনগর সদরে অবস্থিত ৩১ শয্যা বিশিষ্ট একমাত্র সরকারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি বর্তমানে ৫০ শয্যা উন্নিত করা হয়। বর্তমানে সমগ্র বাংলাদেশে ৪৬১ টি হাসপাতালের মাঝে চিকিৎসা সেবার মান বিবেচনায় অত্র হাসপাতালটি চট্রগ্রাম বিভাগে ২য় ও সমগ্র দেশে ৩০ তম স্থানে অবস্থান করছে।
স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত ২৬ জন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পরিবর্তন হলেও ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি হাসপাতালটির। অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশ, পচা দুর্গন্ধ চিকিৎসক, নার্স ও জনবল সংকট ছিল হাসপাতালটির নিত্য সঙ্গী।
গত ২৩ জুন ২০১৯ তারিখে ২৭তম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তা ডাঃ অভিজিৎ রায় অত্র হাসপাতালে যোগদানের পর ও বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পর উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে হাসপাতালটিতে। বর্তমানে হাসপাতালের নোংরা জায়গা ফুলের শোভা পাচ্ছে। হাসপাতালের পরিবেশে অনেকে পরিবর্তন এসেছে। দালাল মুক্ত হাসপাতালে রোগীরা রাত দিন সেবা পাচ্ছে। উপজেলার বাহিরে ও পার্শ্ববর্তী লাখাই, মাধবপুর, সরাইলের রোগীরা এ হাসপাতালে এসে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। হাসপাতালটি শয্যা সংকুলান না হওয়া রোগীরা প্রতিনিয়ত ফ্লেুারে রাত্রি যাপন করে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র ও ডাক্তারদের অন্তরিকতায়ই একমাত্র তা সম্ভব হচ্ছে। বর্তমান চিকিৎসা সেবার র্যাংকিংয়ে এ হাসপাতালটি চট্টগ্রাম বিভাগের ২য় ও সমগ্র বাংলাদেশে ৩০ তম স্থানে অবস্থান করছে বলে হাসপাতালে সুত্রে জানা গেছে। ডাঃ অভিজিৎ রায় যোগাদানের পর থেকে হাসপাতাটিতে দালাল মুক্ত করন, পরিবেশের উন্নয়নের পাশা পাশি শিশুদের খেলার জন্য কিডস জুন, ৩টি ইলেকট্রিক্যাল সিট বা আইসোলেশন, স্বল্প মূল্যে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা, উন্নত চিকিৎসা সেবা ও চিকিৎসক ও নার্সদের আন্তরিকতার কারনেই সব সম্ভব হয়েছে বলে রোগী সাধারন সুত্রে জানা গেছে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অভিজিৎ রায় বলেন, একজন গাইনী, একজন এনেসথেশিয়া ডাক্তারের খুবই জর“রী প্রয়োজন। এই দুই জন ডাক্তার থাকলে চিকিৎসার মান আরো ভালো হতো বলে দাবী করেন এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন এই দুই জন ডাক্তার থাকলে উপজেলার অধিকাংশ ডেলীভারী অত্র হাসপাতালেই সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। তিনি আরো বলেন, শয্যা সংকটের কারনে রোগীদের ফ্লেুারো থাকতে হচ্ছে। ৫০টি শয্যা থাকলে ও প্রতিদিন অত্র হাসপাতালে ৭০ থেকে ৯০ জন রোগীকে ভর্তি দিতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য আগে যে সমস্ত গুর“ত্বপূর্ন ও মুমুর্ষ রোগীদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ দুর দুরান্তের বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালে প্রেরন করা হত এখন এ সমস্ত অনেক রোগীকেই এখানে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। অতি দ্রুত দুই জন ডাক্তার, নার্স ও জনবল নিয়োগের ব্যবস্থা করে অত্র হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধি ও জনগনের দরগৌড়ায় পৌছে দিতে সংশীষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply